আসুন যেনে নেওয়া যাক এর উপকার ও পুষ্টিগুণ সমূহ
লাল বিন্নি চাল
খোসা ফেলে দেওয়ার পরও লাল চালের গায়ে একটি আবরণ থাকে। যা এর পুষ্টি উপাদানগুলোকে অক্ষত রাখে। আর এতে রয়েছে সাধারণ সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ খাদ্য আঁশ, খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন।লাল চাল বেশি স্বাস্থ্যকর, বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং বেশি সুস্বাদু।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
লাল চালে রয়েছে ফাইটিক এসিড, ফাইবার এবং এসেনসিয়াল পলিফেনলস। এটি হলো এমন একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের দেহে সুগারের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। এবং আমাদেরকে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত রাখে - হাড়ের স্বাস্থ্য
লাল চাল আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এটি ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা আমাদের হাড়কে শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক। - হজমের জন্য ভালো
উচ্চ হারে আঁশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক এবং গ্যাস শোষণ প্রতিরোধ করে। ফলে হজম প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালি করে তোলে - শক্তি বাড়ায়
লাল চালে আছে ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এটি কার্বোহাইড্রেটস এবং প্রোটিনকে শক্তিতে রুপান্তর করে। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় রাখে।
কালো বিন্নি চাল
কালো চালের উপকারিতা দেখে মোহিত পুষ্টি বিজ্ঞানীরা, পুষ্টি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, কালো চালের ভাত সাদা ভাতের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যকর এবং কালো চালের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বেশি।কালো চাল ক্যানসাররোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। অ্যান্টিঅক্রিডেন্ট ফ্লাভিনয়েড যা অ্যানথোসায়ানিন নামে পরিচিত তা এই কালো চালে খুব বেশি পরিমাণে থাকাতেই চালের রঙ কালো হয়েছে। আর কালো চালে এ উপাদানটি থাকার কারণেই ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্নায়ূরোগ এমনকি ব্যবকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধমনীতে রক্ত চলাচল যেসব কারণে বাধগ্রস্ত হয়, কালো চালের উপাদান তা হতে দেয় না। ফলে উচ্চ রক্তচাপ হয় না। ফলে হৃদরোগ তথা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
এই চালে আয়রণ বেশি কিন্তু শর্করা কম। কালো চালে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হল- ক্যালরি ১৭০, ফ্যাট ১.৫ গ্রাম (৩%), কার্বোহাইড্রেট ১১%, আঁশ ৫%, ভিটামিন এ ২%, আয়রণ ৬%।
এলাচের পুষ্টিগুণ
- পরিপাকের উন্নতি ঘটায়
এলাচির বায়ুনাশকারী গুণ আছে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি পেটফাঁপা কমায় এবং শূলবেদনা নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি পিত্তরসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাকে সাহায্য করে। এজন্যই এলাচি পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা, যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, এসিডিটি, বদহজম এবং বিভিন্ন ধরণের পাকস্থলীর সংক্রমণ এর আদর্শ সমাধান হিসেবে কাজ করে। - নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে
যদি আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থাকে এলাচি ব্যবহার করে দেখুন। এটি ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদানে ভরপুর থাকে বলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এছাড়াও এর শক্তিশালী গন্ধ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। এলাচি বীজের তেল ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। - ক্ষুধার উন্নতি ঘটায়
এলাচ উষ্ণ পরিপাক টনিক হিসেবে কাজ করে বলে বদহজম, পেটফাঁপা এবং এসিডিটির সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে ক্ষুধামন্দা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পরিপাক রসের নিঃসরণের উন্নতি ঘটায়। - ডিটক্সিফাই হতে সাহায্য করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এলাচি ডিটক্সিফিকেশনের মাধমে শরীরকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। এটি ম্যাংগানিজের ও চমৎকার উৎস বলে এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ময়লা সাফ করতে ও ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এককাপ এলাচ চা পান করলে আপনার শরীর সুস্থ ও পরিষ্কার থাকবে। - কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে
এলাচ কিডনির জন্য ভালো, কারণ এটি মূত্র ত্যাগকে উদ্দীপিত করে এবং ব্লাড প্রেশার কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনিতে জমা হওয়া ক্যালসিয়াম ও ইউরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এলাচ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের কিডনির সমস্যা, মূত্র থলির সমস্যা, কিডনি পাথর, নেফ্রাইটিস, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করা ও ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে। এটি প্রায়ই মূত্র নালীর সংক্রমণের চিকিৎসায় ও ব্যবহার করা হয়।
3 reviews for আয়রনসমৃদ্ধ বিন্নি সুজি