বাসমতি রাইসের পুষ্টিগুণ
- যত বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তত কোলন ক্য়ানসার হওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর বাসমতি চালে তো প্রচুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। প্রসঙ্গত, এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে ফাইবার খেলে কোলন ক্য়ানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়।
- ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কনস্টিপেশন সহ নানা ধরনের পেটের রোগ সারাতে বাসমতি চাল সহায়তা করে।
- বাসমতি চালে একেবারেই কোলেস্টরল থাকে না, ফ্য়াট থাকে একেবারে অল্প পরিমাণে। গ্লটিনও থাকে না। তাই বলতে দ্বিধা নেই, এই চালটি সবদিক থেকে হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে থিয়ামাইন এবং নায়াসিনের মতো ভিটামিন, যা হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে নার্ভাস সিস্টেম এবং হার্টকেও ভালো রাখে।
নাজিরশাইল চালের পুষ্টিগুণ
সহজে হজমযোগ্য: সংবেদনশীল পাকস্থলির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
‘গ্লুটেন’ সংবেদনশীলতা: ‘গ্লুটেন’ সইতে পারেন না কিন্তু নিজেও জানেন না- এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যারা গ্লুটেন সইতে পারেন না তাদের জন্য আদর্শ ।
খনিজের উৎস: হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি খনিজ উপাদানও যোগান দেয় । এতে থাকে দস্তা, যা প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরও আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কোষের কার্যকলাপ বাড়ায়। এছাড়াও এতে থাকা ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’ যকৃতের চর্বি বিপাক প্রক্রিয়ায় খরচ করতে সাহায্য করে।
সাগুদানার পুষ্টিগুণ
এটি সহজেই হজম হয় , শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, পেশী সংকোচন এ সহায়তা করে , পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। সম্পৃক্ত চর্বি খুবই কম থাকায় হার্টের রোগীদের জন্য ভালো একটি খাবার। এটি শর্করার বেশ ভাল একটি উৎস। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সাগু খেলে বেশ উপকার পাওা যায়। সাগু কার্বোহাইড্রেটের দারুণ উৎস।
এলাচের পুষ্টিগুণ
- পরিপাকের উন্নতি ঘটায়
এলাচির বায়ুনাশকারী গুণ আছে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি পেটফাঁপা কমায় এবং শূলবেদনা নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি পিত্তরসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে চর্বি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাকে সাহায্য করে। এজন্যই এলাচি পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, এসিডিটি, বদহজম এবং বিভিন্ন ধরণের পাকস্থলীর সংক্রমণ এর আদর্শ সমাধান হিসেবে কাজ করে। - নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে
যদি আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থাকে এলাচি ব্যবহার করে দেখুন। এটি ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদানে ভরপুর থাকে বলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এছাড়াও এর শক্তিশালী গন্ধ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। এলাচি বীজের তেল ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। - ক্ষুধার উন্নতি ঘটায়
এলাচ উষ্ণ পরিপাক টনিক হিসেবে কাজ করে বলে বদহজম, পেটফাঁপা এবং এসিডিটির সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে ক্ষুধামন্দা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পরিপাক রসের নিঃসরণের উন্নতি ঘটায়। - ডিটক্সিফাই হতে সাহায্য করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এলাচি ডিটক্সিফিকেশনের মাধমে শরীরকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করে। এটি ম্যাংগানিজের ও চমৎকার উৎস বলে এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ময়লা সাফ করতে ও ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এককাপ এলাচ চা পান করলে আপনার শরীর সুস্থ ও পরিষ্কার থাকবে। - কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে
এলাচ কিডনির জন্য ভালো, কারণ এটি মূত্র ত্যাগকে উদ্দীপিত করে এবং ব্লাড প্রেশার কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনিতে জমা হওয়া ক্যালসিয়াম ও ইউরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এলাচ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের কিডনির সমস্যা, মূত্র থলির সমস্যা, কিডনি পাথর, নেফ্রাইটিস, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করা ও ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে। এটি প্রায়ই মূত্র নালীর সংক্রমণের চিকিৎসায় ও ব্যবহার করা হয়।
2 reviews for রাইস সুজি