চিয়া সিড
Logo

Jannat Baby Food

Product view 430957070_1259983748034490_1326080914252478005_n.webp
Product view 430996133_733996205512300_1035015326698342984_n-600x750.webp
Product view 431172636_412976277989888_4054912649200448060_n.webp

চিয়া সিড

1

Categories

৬ মাস
৭ মাস

Variations

Description & Review

প্রতি ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে যে পরিমান পুষ্টিগুন বিদ্যামান :

এনার্জি – ১৩৭ ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেড – ৩ গ্রাম, প্রোটিন – ৪ গ্রাম, ফ্যাট – ৬ গ্রাম, ফাইবার – ৬ গ্রাম, ম্যাগজিন – ৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস – ২৬৫ মিলিগ্রাম, ক্যালশিয়াম – ১৭৭ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক – ১ মিলিগ্রাম, তামা – ১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম – ৮ মিলিগ্রাম, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড আলফা-লিনোলেনিক এনং লিনোলেনিক অ্যাসিড, খনিজ, সালফার, লোহা, আয়োডিন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়া ওমেগা-3, প্রোটিন, ভিটামিন A,B,E এবং D এবং মিনারেলের এক বিশাল সমাহার।

চিয়া সিড আর বেসিল সিড বা(তকমা দানা) ভিন্ন জিনিস। দুইটা দেখতে একই রকম হলেও ভিন্ন জিনিস।

Chia seed মেক্সিকোতে উৎপাদিত হয় এবং দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে এর উৎপাদন হয় না বললেই চলে। তবে যুগে যুগে Chia seed কে এশিয়ান তোকমা দানার সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে বার বারই। দুটোই মিন্ট বর্গের হওয়ায় এবং দেখতে প্রায় একই রকম হলেও জন্মস্থান, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু পার্থক্য।

  • চিয়া বীজ পাচনতন্ত্রের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, এবং খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের উচ্চতর উপাদানের কারণে অন্ত্রের খাবারের শোষণকে উন্নত করে।
  • চিয়া বীজ উভয় লিঙ্গ ইকুটি বাড়া, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ, এবং রক্তে ক্ষতিকারক কলেস্টেরল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, চিয়া বীজে প্রচুর মাত্রায় ওমেগা-3 থাকার কারণে আমাদের শরীরের কোলেস্টরল কে কমিয়ে আনতে বিশেষ সহায়ক।
  • চিয়া বীজ শরীরকে অস্টিওপরোসিস প্রতিহত করতে সাহায্য করে, এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালশিয়াম আমাদের হাঁড়ের মজবুতি আনে সাথে দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সহায়তা করে| তাই যদি আপনি আপনার হাঁড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চান তাহলে চিয়া বীজকে রোজ আপনার ডায়েটে সামিল করুন যাতে আপনার শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে।
  • চিয়া বীজ হৃদরোগের কার্যকারিতা জোরদার করে, রক্তচাপ উন্নত করে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে, এইভাবে ধমনমনীয় ও বাধাগুলিতে চর্বি জমা হওয়ার সমস্যাগুলি রোধ করে।
  • চিয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করে, এছাড়া আমাদের রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাকে সঠিক ভাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একটি ভালো ওষুধের মতো কাজ করে থাকে ।
  • চিয়া বীজ প্রোটিনে সমৃদ্ধ তাই মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়, আমাদের নার্ভ সিস্টেম কে মজবুত করে ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে এটি আমাদের দূরে রাখতে সহায়তা করে| এবং বিষণ্নতা হ্রাস করে কারণ এরা ট্র্যাপফোফ্যান ধারণ করে।
  • চিয়া বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই এটি সবরকমের অসুখের সাথে লড়াই করবার জন্য শক্তি জুগিয়ে থাকে। ক্যান্সার এর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি বেশ ভালো সহায়তা করে থাকে, বীজের ভিতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর জীবাণুর থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে ।
  • চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, প্রোটিন ও ভিটামিন K যা আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো সাথে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে থাকে। তাই যদি আপনি চুল পড়ে যাওয়া ও ঝরার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চান সে ক্ষেত্রেও চিয়া বীজ আপনার জন্য একটি সঠিক খাবার হতে পারে ।
  • চিয়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা আমাদের মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে সাথে ঘুম ভালো আসারও সহায়ক ।
  • চিয়া বীজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের অপ্রয়োজনীয় রেডিক্যালস বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে থাকে তাই আমাদের হার্ট অনেক সুস্থ ও ভালো থাকে এর ফলে ।

চিয়া সিড শিশুর ও বড়রা যেভাবে খাবেন

  • যেকোন শরবত বা স্মুদির উপর ছিটিয়ে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
  • ফালুদা/পুডিং/কাস্টার্ড/ব্রেড/কেক/স্ন্যাক এ সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। বাচ্চাদের জন্য সুজি/সিরিয়াল/খিচুরি প্রভৃতিতে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
  • সবজি/নিরামিষ প্রভৃতিতে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
  • শিশুদের জন্য ডেইলি ১/৬ চা চামচ (বয়স ভেদে)। বড়দের জন্য ১/২ চা চামচ যথেষ্ট।
  • এটি খুবই ছোট্ট দানা আর পিচ্ছিল হবার কারণে একদমই গলায় আটকাবেনা।
  • সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে চিয়া সীড দিয়ে একগ্লাস শরবত/জুস/স্মুদি যথেষ্ট। স্পেশালি গর্ভবতী মায়েদের জন্যও এটি অসাধারণ পুষ্টি যোগাবে।
  • চিয়া সীড দিয়ে শরবত/জুস তৈরি করে খেলে শরীরে পাবেন অতিরিক্ত ক্যালরি। নিমিষেই আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অসাধারণ।
  • গুড়া করে, কেক, বিস্কুট, মাফিন, রুটি পারাটা বানাতে এ মিশ্রন দেওয়া যায়। গুড়া করলে ওমেগা ৩ রিলিজ হয় আর তারে এয়ার টাইট কোটায় রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন ব্যবহারের আগে।
  • চিয়া সীডের এমনে কোন নিজস্ব স্বাদ গন্ধ নাই তাই ইচ্ছামত যেকোন খাবারে যোগ দেওয়া যায়।
  • জুসে মিলানো যায়, সালাদে দেওয়া যায়, স্মুদী, পরিজ, ফিরনী, পায়েশএ যোগ করা যায়, পুডিংএ দেওয়া যায়।
  • চিয়া সীড সিরিয়ালে, দই, ভাতে যোগ করা যায়।
  • চিয়া সীড পানি ও তেল শোষন করে, তাই ঝোল ঘন করতেও ব্যবহার করা যায়।

রাতে চিয়া ভিজিয়ে রাখা ভাল, চিয়া তার ১২গুন পানি ধারন শোষণ করে। তাই না ভিজালে প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হয় পানি শুন্যতা দেখা দিবে। চিয়া সীড এর সাইড ইফেক্ট নাই বললেই চলে, যাদের ফাইবার সহ্য করতে পারেন না, তারা ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাবেন।

চিয়া সীড এর রিকোমেন্ডেড ডোজ হইল ২০গ্রামস বা দেড় টেবিল চামচ প্রতিবারে, দিনে দুইবার ।

Related Products

Popular Products