উপাদান: গম, ভুট্টা, ওটস, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, আখরোট, গুড়া দুধ, তালমিছরি ।
পুষ্টি উপাদানসমূহ (প্রতি ১০০ গ্রামে)
- এনার্জি: ৩৯৯.১৩ কিলোক্যালরি ¹
- কার্বোহাইড্রেট: ৭৫.২১ % ¹
- প্রোটিন: ১৩.৫৯ % ¹
- ফ্যাট: ৩.৮১ % ¹
- ময়েশ্চার: ৫.৬৪ % ¹
- ক্যালসিয়াম: ১৫৯.৩৪ মিলিগ্রাম ²
- আয়রন: ১.৯৫ মিলিগ্রাম ²
¹ বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিসিএসআইআর) কর্তৃক পরীক্ষিত
² ওয়াফেন রিসার্চ ল্যাবরেটরি লিঃ (ISO/IEC 17025: 2017 Certified)
আসুন যেনে নেওয়া যাক “হোমমেড টেস্টি হরলিক্স” এর কয়েকটি উপদানের উপকার সমূহ
ওটস
ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বিসহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান। বিশেষত ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন ইত্যাদি যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি। কম পরিমাণে ফ্যাট-ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়াও রয়েছে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, মানে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট।
- কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী
- ওটসে রয়েছে বেটা গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমানোর সহায়ক।
- হার্ট ভালো রাখে , ওটসে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল মানে এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওটস।
ভুট্টা
সারা পৃথিবীতে ভুট্টা অনেক জনপ্রিয় একটি শস্য। আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভুট্টা। ভুট্টা শুধুমাত্র বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরিই সরবরাহ করেনা বরং ভিটামিন এ, বি, ই এবং অনেক প্রকার খনিজ ও সরবরাহ করে। উচ্চমাত্রার ফাইবারের উপস্থিতির জন্য ভুট্টা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শরোগ ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভুট্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিকারসিনোজেনিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আলঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করে।
মানসম্মত পুষ্টিকর উপাদানের উপস্থিতির জন্য ভুট্টার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ভুট্টা ফাইটোকেমিক্যালে সমৃদ্ধ। ভুট্টার গবেষণালব্ধ ও সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
- অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে
- পরিপাকের উন্নতি ঘটায়
- হাইপারটেনশন কমায়
- গর্ভাবস্থার জন্য অত্যাবশ্যকীয়
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
- খনিজের শক্তিশালী উৎস
- ত্বকের যত্নে
কোকোর পুষ্টিগুণ
- কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ পলিফেনলস নামে পরিচিত, যা রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
- কোকোর তিতা স্বাদের অন্যতম কারণ হল এর এপিক্যাটেকিন যৌগ, যা রক্ত চাপ কমাতে পারে। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই আউন্স ডার্ক চকোলেট খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
- এই এপিক্যাটেকিন কোষের মাইটোক্রন্ডিয়াল’ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, আসল বিষয় হচ্ছে এটা এনার্জি বর্ধক। এতে আছে সামান্য পরিমাণ ক্যাফিইন। তাছাড়া চকলেটের রং যত গাঢ় হয় এতে উদ্দীপক রাসায়নিক পদার্থ থিওব্রোমিনের পরিমাণ ততই বেশি থাকে
প্রতিটি উপাদানের পুষ্টি গুন লিখতে গেলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে ।
আপনার বেবির বয়স এবং অবস্থা বুঝে উপাদান কম বেশি করে থাকি।