উপাদান: জাফরান, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, পাহাড়ি জুমের হলুদ।
বাড়ন্ত বয়সে পুষ্টির ঘাটতি পুরন করতে ও নিয়মিত পুষ্টির জন্য প্রতিদিন দুধের সাথে যুক্ত করুন জাফরান বাদাম মিল্কশেক। যেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর তেমনি সুস্বাদু, যা দুধের স্বাদ বহুগুনে বাড়িয়ে দুধকে মজাদার করে তোলে। এই খাবার
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা,স্মৃতিশক্তি ও ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মাংসপেশী, হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে খুবই কার্যকরী। হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।
এটা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ও বিশেষ উপকারী- জাফরান বাদাম মিল্কশেক হচ্ছে “বি” ভিটামিন সমৃদ্ধ যা শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটি এড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং এটা ভ্রুণ ও প্ল্যাসেন্টার বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।
গর্ভবতী ও ব্রেস্টফিডিং মায়েরা এটা প্রতিদিন গ্রহণ করলে দুর্বলতা অনুভব করবেন না, শরীর এক্টিভ ও প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করবে। ব্রেস্টফিডিং মায়েদের বুকের দুধের ফ্লো বাড়াতে সাহায্য করে। সিজারের বা ডেলিভারির পর নারীদের হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। এতে আছে প্রোটিন, জিংক, বেটা গ্লুকোন সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ উপকরণ যা হাড়ের জন্যে উপকারি। ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ মহিলাই গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার অভিযোগ করেন। তাই গর্ভবতী মহিলাদের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জাফরানে রয়েছে আয়রন,যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামের একটি রাসায়নিক উপাদান । এই উপাদানের রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহনাশক ক্ষমতা যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে, ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে, ক্ষত সারায়, পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে, মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ করে,যকৃৎ সুরক্ষিত রাখে,ডায়েবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আমাদের এই জাফরান বাদাম মিল্কশেক ছোট বড় সবাই খেতে পারবে ইনশাআল্লাহ।